নাব্য সংকটে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নৌরুট
নাব্য সংকটে অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অনেক রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইদুর রহমান রিন্টু লিখিত বক্তব্যে এ দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, গত কয়েক বছরে দেশের যোগাযোগখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে অনেক ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণে সড়ক পথের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অন্যদিকে নাব্য সংকটের কারণে অনেক রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লঞ্চগুলোকে প্রায় দেড় থেকে ২ গুণ বেশি রাস্তা ঘুরে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ফলে জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। নব্য সংকটের কারণে এরই মধ্যে কয়েকটি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
কোভিড -১৯ মহামারির কারণে নৌপথে যাত্রী পরিবহন আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে উল্লেখ করে সংগঠনটি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাজেটে নৌ-যান রেজিস্ট্রেশনে কর কমানোর দাবি জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, সারাদেশেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী না পাওয়ায় সব জাহাজ মালিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তার উপর ট্যাক্স বৃদ্ধির ফলে অনেক ছোট ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যেহেতু পুরাতন জাহাজের মেরামত ও পরিচালন ব্যয় বেশি সে বিষয়টি বিবেচনা করে এবং সারাদেশে নৌ-পরিবহন ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আগামী বাজেটে পূর্বের ন্যায় দুটি ক্যাটাগরি করে ১০০ টাকার স্থলে ১২৫ টাকা এবং ৪০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা কর নির্ধারণের দাবি করছি। এছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের সেবার ক্ষেত্রে মূসক প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় সভায়।
সংগঠনটির দাবি, বেসরকারি লঞ্চের মালিকরা জ্বালানি ব্যবহার করে নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এসি চালান। এতে সরকারের কোনো সহযোগিতা নেই। তাই এ ব্যবসার উপর মূসক চাপিয়ে দেওয়া হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত লঞ্চ ও দিন দিন যাত্রী সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া লঞ্চের এসি প্রতি মাসে সার্ভিসিং বা ঘনঘন পরিবর্তন করতে হচ্ছে। করোনার মধ্যে ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এই সেক্টর প্রণোদনা পায়নি। শীতে চার মাস এসি বন্ধ থাকে। তারপরও ভ্যাট দিতে হয়। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রযোজ্য ১০ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানায় সংগঠনটি।
সভায় এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/এসকেডি