জনগণের পারস্পরিক সুবিধার্থে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জাং কেউন সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব গুলশাহানা ঊর্মি। 

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই অঞ্চলের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার্থে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’

ইহসানুল করিম বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে একটি প্রজন্মের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে কোরিয়ান সাফল্যের প্রশংসা করেন।

শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সাফল্য বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে অনুপ্রাণিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী কোরিয়ায় তার দুটি সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, দ্বিতীয় সফরে তিনি সেখানে বিস্ময়কর উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছেন।

কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ), কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

এ প্রসঙ্গে লি জাং কিউন বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার যা বর্তমানে ৩শ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে ওডিএ ছিল ৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা এখন ৩শ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। 
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাত থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে আগ্রহী।

তিনি গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশে তার দায়িত্বপালনকালে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমার হৃদয়ে আছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

এমএসআই/জেডএস/এমজে