বর্ণিল আয়োজনে রোমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
বর্ণিল আয়োজনে ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপন করেছে। শনিবার (২০ মে) রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দূতাবাস জানায়, পিঠা উৎসব, সুমধুর গান, দৃষ্টিনন্দন নাচ এবং ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি তুলে ধরা হয় বর্ণিল আয়োজনে। দূতাবাস সামনের সড়কে আয়োজিত বাংলার ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রচুর বিদেশি অতিথিসহ দূতাবাস পরিবারের সদস্যরা বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সময়ে আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাঙালি সংস্কৃতির দীর্ঘ ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনীতিক উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে মানবজাতির বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দানের কথা উল্লেখ করেন।
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিভাগের সেন্ট্রাল ডিরেক্টর মিনিস্টার আলেসান্দ্রা স্কিয়াভো অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশ কমিউনিটির ভূয়সী প্রসংসার পাশাপাশি তাদের স্বকীয়তা ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিজ্ঞাপন
একইসঙ্গে তিনি ইতালীয় ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে ইতালির বাংলাদেশি কমিউনিটির মিথষ্ক্রিয়ার গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইতালি-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতালির লুমসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট বন্ধু ড. ফ্রান্সেস্কো জানিনি। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের যে প্রচলিত রীতি, তা হাজার বছরের বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালনের এক অনন্য নিদর্শন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এ ঐতিহ্যকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও তিনি আলোকপাত করেন।
এনআই/এসএম