স্বপ্ন দেখতে দেখতেই যাদের সময় কেটে যায় তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও দেশসেরা নিউজ প্রেজেন্টার এবং হিউম্যান স্কিল ডেভেলপমেন্ট ড্রিম প্লাটফর্মের ফাউন্ডার গোলাম রাব্বী নিয়ে এসেছেন ‌‘কী যে করি’।

বইটি পাওয়া যাচ্ছে একুশে বইমেলার ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ নম্বর স্টলে ও রকমারি ডট কমে। বইটি প্রকাশ করেছে আদর্শ পাবলিকেশন।

বইটির বিষয়বস্তু
আমরা অনেকে কেবল ভাবি ‘কী যে করি’। অথচ কাজ করতে চাইলে কাজের বা চাকরির যে অভাব নাই সেটিই এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কোনো কাজ ছোট না। করা যেতে উবার ড্রাইভিং, পার্সেল ডেলিভারি বা ফুড ডেলিভারিও। ডিজিটাল অঙ্গনে ফ্রিল্যান্সিং করা যেতে পারে। ওয়েব ডেভেলপ, গ্রাফিক্স ডিজাইন বা মোশন গ্রাফিক্সসহ নতুন কত কী শেখা যায়! কত ধরনের যে চাকরির সুযোগ আছে!

ইচ্ছা থাকলে বর্তমানে চাকরির পাশাপাশি অনেক কিছু করা যেতে পারে। কাজ করার দরকার না হলে অবসরে আলসেমি না করে নিজেকে গঠন, বিনোদন বা কিছু শেখাও হতে পারে হতাশা কাটানো বা স্বপ্নপূরণের মূলমন্ত্র।

কিছু করার না থাকলে নাচ-গান-অভিনয় শেখা যেতে পারে। তাও সম্ভব না হলে অন্তত একটা ঘুম দিতে পারি। যারা মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করবে।

এ বিষয়ে গোলাম রাব্বী বলেন, আমরা সবসময় ভাবতে থাকি ‘কী যে করি, কী করব’। কিন্তু এটা ভাবি না যে, চেষ্টা করলে অনেক কিছুই করতে পারি। ব্যবসা করতে পারি, চাকরি করতে পারি, চাকরির পাশাপাশিও কিছু করতে পারি। যারা সারাক্ষণ ‘কী যে করি’ চিন্তায় থাকেন তাদের জন্য আমার এই বই।

এক নজরে গোলাম রাব্বী
গোলাম রাব্বীর বেড়ে ওঠা মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার এক গ্রামে। মাধ্যমিকে প্রথমবারের মতো গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তি তাকে দিয়েছিল এগিয়ে চলার পাথেয়। বাংলাদেশে টেলিভিশনের (বিটিভি) ‘কুইজ কুইজ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে হয়েছেন দেশসেরা। রচনা প্রতিযোগিতা, সাধারণ জ্ঞান, উপস্থিত বক্তৃতা ও বিতর্কে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। বিশ্ব টেলিকমিউনিকেশন্স দিবসে রাষ্ট্রপতি পদকও পেয়ছেন তিনি।

জেলা শহরের পত্রিকা দিয়ে লেখার রাজ্যে প্রবেশ। কিশোর বয়সে, গ্রাম থেকেই অংশ নিতেন রেডিও এবং পত্রিকার নানা আয়োজনে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়ার সময় মিডিয়ায় প্রথমে যুক্ত হন ফিচার রাইটার হিসেবে। ক্যারিয়ার ও ইতিবাচক বিষয়ের ফিচার লেখক হিসেবে কাজ করেছেন প্রথম আলো, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও জাগো নিউজসহ প্রথম সারির কয়েকটি গণমাধ্যমে। হঠাৎই পথ চলা শুরু বেসরকারি এফএম রেডিওর আরজে হিসেবে। জনপ্রিয় টেলিভিশন সময় সংবাদের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় এক যুগ ধরে যুক্ত আছেন সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে। অনুষ্ঠান উপস্থাপক হিসেবে যুক্ত আছেন বিটিভিতেও। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা।

সৃজনশীল কাজ, আইডিয়া ডেভেলপমেন্ট, ইনোভেশন, প্রযুক্তি ভাবনা ও নতুন কিছু করাই তার নেশা-পেশা। লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সার্কভুক্ত দেশসহ বিশ্বের ৯টি দেশে।

এসআই/এইচকে