প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সহজে আসেনি। এটাকে রক্ষা করা এবং দিনে দিনে এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমার আপনার সবার দায়িত্ব। যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছেন শুধু তারাই মুক্তিযোদ্ধা নয়। যারা ঘরে বসে রান্না করেছেন, জীবনবাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এস এম আনোয়ারা বেগম, ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। আমার হাতে রাইফেল ছিল, গ্রেনেড ছিল। আমাদের অবস্থান ছিল হয় মরব, না হয় মারব। কিন্তু যারা জমানো টাকা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিল বা যারা আমাদের জন্য রান্না করে খাবার পাঠিয়েছিল তারা কারা? যারা যুদ্ধের সময় আমাদের সাহায্য করলেন তারা কখনও আমার কাছে সুপারিশের জন্য আসেননি। সুতরাং ওই সময়ের হিসেবে দেশবিরোধীদের বাদ দিলে সবাই মুক্তিযোদ্ধা ছিল।

ড. এস এম আনোয়ারা বেগম বলেন, ১৯৭১ সালে সবাই মুক্তিযোদ্ধা ছিল। আমরা বন্দুক ও গ্রেনেড নিয়ে যুদ্ধ করেছি বলেই  মুক্তিযোদ্ধা হব, সেটা হতে পারে না। কারণ ওই সময় আমরা যুদ্ধ করলেও বেশিরভাগ মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের যারা সহযোগিতা করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। দেশ স্বাধীনের পর মেজর জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিলেন, সেটা না করলেও পারতেন। কারণ ওই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা না করে যারা দেশবিরোধী ছিল তাদের তালিকা করলে নির্ভুল হতো।

এসআর/এসকেডি