শান্তিকালীন সময়ে দেশে সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর মধ্যে একটি হলো গুজব। এ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করতে ‘গ্রে জোন অ্যাক্টিভিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ ফর বাংলাদেশ’ নামে একটি সেমিনার শুরু হয়েছে।

রোববার (৪ জুন) ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি গলফ ক্লাবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। সেমিনারটি চলবে সোমবার (৫ জুন) পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেমিনারটি আয়োজন করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সমসাময়িক বিশ্বে শুধু যুদ্ধকালীন সময়ের বাইরে শান্তিকালীন সময়েও একটি দেশ বিভিন্ন ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়ে থাকে। এর মধ্যে শান্তিকালীন সময়ে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক হীন স্বার্থান্বেষী কার্যক্রম, সাইবার হুমকি, গুজব ও তথ্য বিভ্রান্তি অন্যতম।

এ ধরনের কার্যক্রম কূটনৈতিক পরিবেশ, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় নিরাপত্তাকে চরমভাবে বিঘ্নিত করতে পারে। শান্তিকালীন সময়ে জাতির জন্য এ ধরনের হুমকি সম্পর্কে আমাদের তরুণ প্রজন্মের সচেতনতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে দুই দিনব্যাপী সেমিনারটি আয়োজন করা হয়েছে।

সেমিনারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী  ইয়াফেস ওসমান উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের ও ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে গ্রে জোন অ্যাক্টিভিটিজের ওপর মূল্যবান বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান উপস্থিত থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন। এছাড়াও সেমিনারে দুজন বিদেশি বিশেষজ্ঞ, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, পুলিশ, আনসারসহ জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কর্মকর্তারা ও বাংলাদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ সর্বমোট ৪০০ জন অংশগ্রহণ করে।

সেমিনারের আলোচ্য উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো-

১. সমসাময়িক বিশ্বে শান্তিকালীন সময়ে একটি দেশ তার রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যুদ্ধ ব্যতীত যেসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তার ধারণা।

২. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সাইবার হুমকি ও নিরাপত্তা।

৩. সমসাময়িক বিশ্বের বিভিন্ন প্রকার তথ্যের বিভ্রান্তি এবং গুজবের কুফল প্রতিরোধে রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভূমিকা।

৪. অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক হীন স্বার্থান্বেষী কার্যক্রম।

৫. জাতীয় নিরাপত্তা।

সেমিনারের উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দেশিবিদেশি বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। সোমবার (৫ জুন) সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।

এমএসি/এসএসএইচ/