রংপুর থেকে পশুবাহী ট্রাক নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতে ১২ থেকে ১৩ জায়গায় চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন পরিবহন মালিকরা।

আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন) সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে ঈদুল আজহা ২০২৩ উপলক্ষ্যে মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজট মুক্ত রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সমন্বয় সভায় পরিবহন মালিকপক্ষ এ অভিযোগ করে।

পরিবহন মালিকদের অভিযোগ, পশুবাহী ট্রাক নিয়ে রংপুর থেকে ঢাকা পৌঁছাতে ১২ থেকে ১৩ জায়গায় তাদের চাঁদা দিতে হচ্ছে। যারা চাঁদা নেন তারা সবাই বাইরের লোক। তবে এখানে রাজনৈতিক লোক বেশি। এছাড়াও ঢাকার প্রবেশমুখ আমিনবাজারে বড় সমস্যা জ্যাকেট বাহিনী। তারা জোর করে হাটে গরুর গাড়ি ঢুকাতে বাধ্য করে। কেউ গাড়ি ঢুকাতে না চাইলে তাদের মারধর করে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা।

ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক হাসানুল কবির বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে চাঁদাবাজি হয়। বিষয়টি আগে এক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেই সভায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান উপস্থিত ছিলেন। তখন মন্ত্রী ও সচিব আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, এ চাঁদাবাজি বন্ধ হবে। তবে তা এখনও বন্ধ হয়নি। তবে আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে।

তিনি বলেন, পণ্যবাহী ট্রাকে আগে যেভাবে চাঁদাবাজি হতো তার চেয়ে অনেকাংশে কমেছে। একটি গাড়িকে রংপুর থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে ১০ থেকে ১২ জায়গায় চাঁদা দিতে হচ্ছে। রংপুর থেকে ঢাকায় আসতে মডার্ন মোড়, কারুপণ্য মোড়, গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল টাঙ্গাইল, বাইবাইলসহ ঢাকায় প্রবেশের বিভিন্ন জায়গায় এ চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। তারা সবাই বাইরের লোক। এখানে সব ধরনের লোকই আছে। আগে যেভাবে চাঁদাবাজি হতো তা এখন হয় না। এ তথ্য গতবারের। এজন্য তিনি আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ গরুর গাড়ি মধ্যরাতে মেট্রোসিটির ওপর দিয়ে যায়। ফলে মেট্রো সিটিতে এ সমস্যাটা প্রকট। যারা বাধা সৃষ্টি করে তারা স্থানীয় ও হাট কেন্দ্রিক লোকজন। যা একটি ভয়াবহ সমস্যা।

পরিবহন মালিকদের দাবি রাস্তার ওপরে যেন গরুর হাট অনুমোদন না দেওয়া হয়। রাস্তায় কোনো গরুর ট্রাক লোড-আনলোড হবে না। এজন্য কোনো খোলা মাঠ বা ফাঁকা জায়গায় গরুর ট্রাক লোড-আনলোড করতে হবে। তাহলে ঈদে মহাসড়কে যানজট কমানো সম্ভব।

তারা ঈদের পাঁচ দিন আগ থেকে কাভার্ড, লরি, পিকআপভ্যান বন্ধের দাবি জানান। তাদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা আপনাদের দাবিটি শুনলাম। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানানো হবে। তবে তারা বন্ধ রাখবেন নাকি তা তাদের সিদ্ধান্ত। তারা যা সিদ্ধান্ত দেবেন তাই করা হবে। 

এমএসি/এফকে/এনএফ