লালমাটিয়া মহিলা কলেজে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে কলেজ অডিটরিয়ামে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানটি অনলাইনে সম্প্রচার করা হয়। লালমাটিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
বিজ্ঞাপন
কমিটির আহ্বায়ক সম্পা দাস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ভাষণে সবশেষে যে কথাটি বলেন সেটা হলো ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাহ আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’- আর এর মধ্য দিয়ে তিনি সব অনাচার-শোষণ থেকে দেশকে ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
শিক্ষকদের পক্ষে সৈয়দা নাজনীন আখতার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালির অপমান ঘোচাতে চেয়েছেন।'
বিজ্ঞাপন
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ মানেই হলো বঙ্গবন্ধু। আমাদের মা-বাবারা নিজের সন্তানকে উৎসর্গ করেছিলেন দেশ-মাতৃকার যুক্তির জন্য। নিজের জীবন দিয়ে দেব, তবু মুক্তির আন্দোলন থামানো যাবে না। আমাদের কাজ করতে হবে রক্তের ঋণ পরিশোধের জন্য।
অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ২৩ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য অনেক কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু সামাজিক সমতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যার প্রমাণ আমরা দেখতে পাই আমাদের সংবিধানে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রমাণ করেছেন, কীভাবে অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে হয়, কীভাবে আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে হয়।
এসএম