পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, উন্নত দেশে উন্নীত হলে বাংলাদেশে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ বাড়বে। তাই পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা সীমিত রাখতে আমাদের কাজ করতে হবে। বিশেষ করে এনডিসিতে উল্লিখিত প্রশমনমূলক কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। সবাই মিলে জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। 

বুধবার (২১ জুন) পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ : ফার্স্ট বাইঅ্যানিয়্যাল আপডেট রিপোর্ট টু দ্যা ইউএনএফসিসি’ শীর্ষক প্রকল্পের চূড়ান্ত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ইউএনএফসিসিসিতে দাখিল করার জন্য ‘বাইঅ্যানিয়্যাল আপডেট রিপোর্ট’ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই দলিলে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সামগ্রিক চিত্র, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সময়ের জাতীয় গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ইনভেন্টরি এবং প্রশমন কার্যক্রমগুলো তুলে ধরা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। 

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, বাইঅ্যানিয়্যাল  আপডেট রিপোর্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি পূরণে বাংলাদেশের অগ্রগতির পাশাপাশি সরকারের অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন এমন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করবে। সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো কার্যকারিতা মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য এবং কার্যকর জলবায়ু নীতি গ্রহণে রিপোর্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ইউএনডিপির ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ কৃষ্ণা রাজ অধিকারী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস