ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে আলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আলালের মৃত্যুর ৯ দিন পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ডিবি।

অভিযোগের বিষয়ে ডিবি জানায়, সব ধরনের নিয়ম মেনেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি সেখানে মারা জান।

শনিবার (২৪ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ কথা বলেন। 

>> ‘ডিবি তুলে নিয়ে গেল, এরপর শুনলাম ভাই মারা গেছে’

তিনি বলেন, আমি ঘটনার সময় দেশে ছিলাম না। আমি এসে যতটুকু জেনেছি, আইন-কানুন মেনেই, আদালতের অনুমোদন নিয়েই সবকিছু হয়েছে। তিনি যেহেতু অসুস্থ, তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। আদালতই বলেন অসুস্থকে চিকিৎসা দিতে। আদালতের অনুমোদন নিয়েই তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

ডিবি প্রধান বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে তিনি ৬ থেকে ৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তিনি বুকের ব্যথা অনুভব করলে তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তিনি মারা যান। তার ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে তার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আলালকে কবে আদালতে তোলা হয়েছিল এবং কবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন বলেন, সে তথ্য তদন্ত কর্মকর্তার কাছে আছে। আপনারা নিয়ে নেবেন।

নিহতের পরিবার জানিয়েছিল, উত্তরার বাসিন্দা আলাল উদ্দিন তুরাগের বাউনিয়া মহিষাগার এলাকার একটি সাততলা ভবনের কেয়ারটেকার হিসেবে গত কয়েক মাস ধরে কর্মরত ছিলেন। গত ৫ জুন ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফাতেমা আক্তার নামে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়, ওই নারীর স্বামী ইসমাইল হোসেন আজাদ তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন।

পরিবার জানায়, কিন্তু ঘটনার পর ৬ জুন ভবনটির কেয়ারটেকার আলালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবির উত্তরা বিভাগের জোনাল টিম। আটকের পর ডিবি আলালের বিষয়ে কিছু জানায়নি পরিবারকে। পরে ১৬ জুন রাতে আলালের পরিবারের কাছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় তিনি মারা গেছেন।

পরিবারের অভিযোগ, ডিবির নির্যাতনে আলালের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ ছিলেন। তাকে বিনা কারণে ফাতেমা আক্তারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আটক করা হয়েছিল।

এমএসি/ওএফ