পবিত্র ঈদুল আজহার আগে সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস আজ (সোমবার)। শেষ কর্মদিবসে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে।

সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকে সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিকভাবে কাজ চলছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে। ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস হলেও আমাদের কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে। বাড়ি যাওয়ার আগে সবাই সবার সঙ্গে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অফিসে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত উপস্থিত থাকার ব্যাপারে সাধারণত ছাড় দেওয়া হয়। এজন্য আজকে অনেকে অফিসে এসে আগেভাগেই চলে গেছেন। সেজন্য উপস্থিতি কিছুটা কম।

তিনি বলেন, এছাড়া অনেকে আগেই ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। সবমিলিয়ে আজ উপস্থিতি কিছুটা কম। এমন পরিস্থিতি শুধু আজকে নয়, প্রায় প্রতি ঈদের আগেই এরকমটা দেখা যায়। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী বলেন, আমাদের কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলছে। সকাল থেকে মিটিং ছিল। যাদের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে এরকম দুই-একজন ছুটি নিয়েছেন।

২০২৩ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, আগামী ২৮ জুন (বুধবার) থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহার ছুটি। তবে এই ছুটি ২৭ জুন (মঙ্গলবার) থেকে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এর ফলে আগামী ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে ঈদের ছুটি। পরদিন ১ জুলাই থাকবে সাপ্তাহিক ছুটি। সেই হিসাবে মোট পাঁচদিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

গত ১৯ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মানুষ যেন ঈদুল আজহা সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করতে পারেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে ছুটির অনুমোদন দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ঈদের আগে সাধারণত একদিন ছুটি থাকে। একদিন ছুটি থাকলে সবাই একসঙ্গে রওয়ানা করে। গত ঈদে আমরা একদিন বাড়তি ছুটি দিয়েছিলাম। তখন দেখেছি এমনটি করলে ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকে। গত ঈদে দেখেছেন ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনাটা ভালোভাবে করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যেন সবাই সুন্দরভাবে বাড়ি যেতে পারেন। সেজন্য সবাইকে প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। 

ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরে একদিন ছুটি বাড়ানোর অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। রমজান মাস ২৯ দিন ধরে ২২ এপ্রিল (শনিবার) ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণ করে ছুটির তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। 

সেই অনুযায়ী ২১, ২২ ও ২৩ এপ্রিল ঈদের ছুটি ছিল। তার আগে ১৯ এপ্রিল ছিল শবে কদরের ছুটি। মাঝে ২০ তারিখ ছুটি ঘোষণা করায় ১৯ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত টানা ৫ দিন ছুটি কাটান সরকারি চাকরিজীবীরা।

এসএইচআর/কেএ