মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের চতুর্থ দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২১টি মামলায় মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া এতে আরও দুইটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এসব অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। পুরো জুলাই মাসজুড়ে পরিচালনা করা হবে এ অভিযান।

ডিএনসিসির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন জানান, অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন খিলগাঁও তালতলা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাড়ে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ছয়টি মামলায় মোট ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় চারটি মামলায় মোট ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অঞ্চল-২ এর আওতাধীন পল্লবী থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় দুইটি মামলায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও দুইটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

এছাড়াও অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন মিরপুর ৬০ফিট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান অভিযান পরিচালনা করেন। দুইটি বাড়িতে এবং একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় বাড়ির মালিকদের তিনটি মামলায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ছয়টি মামলায় ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 
 
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন সোলমাইদ, সরকারবাড়ি মোড় এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। নির্মাণাধীন দুইটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় দুইটি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এএসএস/এফকে