অবৈধ সম্পদে স্ত্রীসহ সিভিল সার্জন স্টোর কিপারের বিরুদ্ধে মামলা
দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের বহিষ্কৃত স্টোর কিপার এ কে এম ফজলুল হক ও তার স্ত্রী খায়রুন নেছার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৫১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৪ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনসহ ১ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আল-আমীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, আসামি এ কে এম ফজলুল হক কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৫১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৪ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। সিভিল সার্জন অফিসে চাকরিকালে নিজের পদ-পদবি ব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৭ টাকার সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন। এছাড়া গোপন করা সম্পদ তিনি স্ত্রী ও মেয়ের নামে কিনেছেন।
এদিকে, দ্বিতীয় আসামি খায়রুন নেছা নিজেকে একজন মাছের চাষি ও পশু খাদ্যের ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করলেও যাচাইকালে তার সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে পারেননি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। তার নামীয় সম্পদ তার স্বামীর দুর্নীতির অর্থ দ্বারাই অর্জিত। সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাকেও এ মামলার আসামি করা হয়।
আরএম/এফকে