চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে পুলিশের গুলিতে ৩ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। এখন উল্টো তারা বলে বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই। আমরা চাই শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর সব জায়গায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হোক।

শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইয়াজ উদ্দিন রমিম হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। 'আমরা চট্টগ্রামবাসী' নামে একটি সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

চৌধুরী ফরিদ বলেন, আমেরিকায় বাংলাদেশের সন্তানদের আজ কোনো নিরাপত্তা নেই। সম্প্রতি সেখানে পড়ালেখা করতে যাওয়া বাংলাদেশি এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ রকম গত ছয় মাসে সেখানে ২১ হাজার মানুষ পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাদের দেশে কোনো মানবাধিকার নেই। অথচ তারা বাংলাদেশের মানবাধিকারের কথা বলে। বাংলাদেশের র‍্যাবের বিরুদ্ধে আপনারা স্যাংশন দেন। আমরা আপনাদের পুলিশের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেওয়ার দাবি করছি।

ইয়াজ উদ্দিন রমিমের বড় ভাই রিয়াজ আহমেদ আসিফ বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে আমার ভাই নিহত হলো। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপর সে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের পুলিশের হেফাজত থেকে আসামি কেমনে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় আমরা সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটু বলেন, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর দেশ আমেরিকা। দিনে দুপুরে সেখানে পাখির মতো মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হয় না। একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যানুযায়ী প্রতি মাসে ১০০ জন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে সেখানে। ট্রাফিক আইনের জন্য হত্যা করা হচ্ছে। যে আমেরিকায় এসব কিছু হচ্ছে তারা আবার বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই।

এর আগে গত ১৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্টলুইস শহরে কর্মস্থল বিপি গ্যাস স্টেশনে ইয়াজ উদ্দিন রমিমকে (২২) গুলি করে হত্যা করা হয়। সেন্টলুইস শহরের পার্কওয়ে সেন্ট্রাল হাইস্কুল থেকে স্নাতক শেষ করে কমিউনিটি কলেজে কম্পিউটার সাইয়েন্সে পড়ালেখা করছিলেন রমিম। পাশাপাশি বিপি গ্যাস স্টেশনে কাজ করতেন। 

সংগঠক ইয়াসির আরাফাতের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব নেতা শোয়েব ইসলাম, মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, শৈবাল দাশ, সাদ্দাম হোসেন, মো. আরাফাত হোসেন, মো. রাশেদ, মো. সালাউদ্দিন।

এমআর/এসকেডি