তথ্য নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিসহ ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।

শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা জানান।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মোবাইল ব্যবসায়ী রিচার্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, ফুল পাখি নদী সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ প্রমুখ। 

সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ৯ জুলাই ‘নাগরিকের তথ্য ফাঁস’ নিয়ে দেশের প্রায় সবকটি গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম ছিল। এ সকল প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি সেবাদানকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ বা ৫ কোটি নাগরিকের নাম ঠিকানা, ইমেইল, ফোন নম্বর, পিতা মাতার নাম ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিকদের মনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমাদের দেশে ইতিমধ্যে প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং তথ্য হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষকে নাজেহালের ঘটনা অহরহ। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা গ্রহণকারী সাধারণ গ্রাহকরা সবচাইতে বেশি ভোগান্তিতে। অথচ আমাদের সংবিধানের ৪৩ এর (খ) ধারায় প্রত্যেক নাগরিকের চিঠি ও যোগাযোগের অন্যান্য তথ্য গোপন রাখার অধিকার প্রদান করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকারেও বলা হয়েছে গ্রাহকের বা নাগরিকের তথ্য গোপন রাখতে হবে এমনকি তথ্য ফাঁস বা হ্যাকিং হলে তা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নাগরিককে সচেতন করার জন্য অবগত করতে হবে।

তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় যে সরকারের দায়িত্বে থাকা একটি প্রতিষ্ঠানের গত ২৭ জুন ভিক্টর মার্কপুলাস নামের একজন সাইবার নিরাপত্তা মার্কিন বিশ্লেষণ সাইবার নিরাপত্তার নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রিসপন্স টিমকে (সিআইআরটি) অবগত করে। এ প্রতিষ্ঠানের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নাগরিককে বিষয়টি অবগত করা। কিন্তু তারা বিষয়টি জনগণের কাছে গোপন রেখেছে। আমরা চাই নিরাপত্তার পাশাপাশি দায়িত্ব অবহেলার কারণে জড়িত থাকা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ওএফএ/এমএ