বহুদিন পর রাজধানী ঢাকায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করতে যাচ্ছে বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এ অবস্থায় সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে আজ শুক্রবার দুপুরে এসব কর্মসূচির সময় নির্ধারণ করা থাকলেও এখন পর্যন্ত রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নিরাপত্তা দেখা যায়নি।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল ৮টায় যাত্রাবাড়ী মোড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। যাত্রীরা ওঠা-নামা করছেন। অন্যান্য দিনের মতো রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। এছাড়া বাড়তি কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। 

যাত্রাবাড়ী মোড়ে ব্যবসায়ী আমিনুরের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ আছে শুনেছি। তাতে আমাদের কী? আমরা সাধারণ মানুষ। কর্ম করেই খেতে হবে।

হাছান নামের একজন নির্মাণশ্রমিক বলেন, আমি প্রতিদিন এ রাস্তা হয়ে কাজে যাই। এখানে অন্যান্য দিনের মতো যেমন অবস্থা দেখি, আজকেও তেমনটা দেখছি।

যাত্রাবাড়ীর মতো একই দৃশ্য লক্ষ করা গেছে রাজধানীর আরেক প্রবেশমুখ সায়েদাবাদেও। সেখানেও আইনশৃংখলা বাহিনীর বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায়নি। অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল। তবে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তায় এতো গাড়ির চাপ দেখা যায়নি।

এদিকে গত বেশ কয়েকদিন ধরে নানা নাটকীয়তা ও স্থান-সময় পরিবর্তনের পর আজ রাজধানীতে কর্মসূচি করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় এই দুই দলের সমাবেশ-পাল্টা সমাবেশ ঘিরে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ।

২৩টি শর্তে নয়া পল্টনে বিএনপিকে এবং তার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ। পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে রাজপথে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী তিন সংগঠনের অবস্থান যেন সংঘাতের দিকে না গড়ায়, সেজন্যই দুই পক্ষকেই ২৩টি শর্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

শুক্রবার দুপুর ২টায় শুরু হওয়া বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

অন্যদিকে এর এক ঘণ্টা পর বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের যৌথ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এসএইচআর/এমজে