স্বাস্থ্যবিধির নামে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের দাবি
গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন ও ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের ভাড়ায় যত সিট তত যাত্রী পদ্ধতিতে ফেরত আসার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একইসঙ্গে রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে সব শ্রেণির গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারে দাবি সংগঠনটির।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী দুর্ভোগের যাবতীয় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। করোনা সংকটে দেশব্যাপী শুরু হওয়া যাত্রী দুর্ভোগ ও ভাড়া নৈরাজ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, করোনা সংকটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর জন্য বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও দেশের অধিকাংশ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সিটি সার্ভিস ও শহরতলীর বাস, হিউম্যান হলার, অটোটেম্পুগুলোয় বর্ধিত ভাড়া নিয়ে সেই পুরনো কায়দায় গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এতে কর্মজীবী, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সব অফিস আদালত খোলা থাকায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সিটি সার্ভিসের বাসগুলো চলাচলের ফলে রাস্তায় প্রতিটি স্টপেজে শত-শত যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গণপরিবহন পাচ্ছেন না। এতে নারী, শিশু, অসুস্থ রোগী ও অফিসগামী যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ছেন। এ নিয়ে গণপরিবহনে যাত্রী-শ্রমিকদের মধ্যে প্রায়ই ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে তিনি দেশের লকডাউন বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করা হলে, যত সিট তত যাত্রী (বিআরটিএ নিবন্ধিত আসন অনুযায়ী) পদ্ধতিতে পূর্বের ভাড়ায় যাতায়াতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার দাবি জানান। একইসঙ্গে গণপরিবহণের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
জেইউ/এসকেডি