সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম (বাঁয়ে) ও তার ছেলে মোস্তফা আশীষ ইসলাম (ডানে) (ছবি : সংগৃহীত)

গভীর শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধায় সব শহীদকে স্মরণ করে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দুই উপজেলায় চার লাখেরও বেশি মানুষের কাছে ভয়েস কল দিয়েছেন বাবা ও ছেলে। এছাড়া জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের জন্য দুই পৌরসভার সব মসজিদে দোয়া করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মোস্তফা আশীষ ইসলাম। 

সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের ২ লাখ ৪ হাজার ৫০০টি এবং তার ছেলে মোস্তফা আশীষ ইসলামের ২ লাখ ৪ হাজার ৫০০টিসহ মোট ৪ লাখ ৯ হাজারটি ভয়েস কল চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলার ভোটার সাংবাদিকসহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের দেওয়া হয়। 

মোস্তফা আশীষ ইসলামের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঝিকরগাছা ও চৌগাছা পৌরসভার ৫৫টি মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান এবং পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে শোকবার্তা জানিয়ে দেওয়াল লিখন কার্যক্রম করা হয়।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের ভয়েস কলে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরের আলো ফোটার আগেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে ঐতিহাসিক বাড়িটিতে ঘাতকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধুকে নৃশংভাবে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নিকট আত্মীয়সহ মোট ২৬ জন সেদিন শহীদ হন। কেবলমাত্র তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। ঘাতকের বুলেট বঙ্গবন্ধুর নশ্বর দেহকে বিলীন করলেও তিনি অবিনশ্বর। বাঙালির পরিচয়, ইতিহাস, মানচিত্র, পতাকা আর স্বাধীনতায় তিনি মিশে আছেন, মিশে থাকবেন। জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

মোস্তফা আশীষ ইসলাম ভয়েস কলে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বাঙালির ইতিহাসে কালো অধ্যায়। সে কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে তার সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল এবং বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামালকে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, তাদের পরিবারের সদস্য এবং বঙ্গবন্ধুর নিকট আত্মীয়সহ মোট ২৬ জন সেদিন শহীদ হন। বর্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যা করার সাহস পায়নি, সেটিই করেছিল এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার। ঘাতকরা এ দেশ থেকে জাতির পিতার নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন কোনোদিনই পূরণ হয়নি, হবেও না। হে পিতা, তুমি ছিলে, তুমি আছো, তুমি থাকবে আমাদের হৃদয়ে। জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

এসআর/কেএ