বাজারে বোতলজাত পানির দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকমাস হলো। এনিয়ে সম্প্রতি বোতলজাত পানিও ছোঁয়া নিষেধ!  শিরোনামে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা পোস্টে। এরপরই অযৌক্তিকভাবে পানির দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিযানে নামার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ ঘোষণা দিয়েছেন।

ভোক্তা অধিকারের অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক পোস্টে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য থাকলে তা শেয়ার ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

সফিকুজ্জামান লিখেছেন, একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের ১০০ শতাংশের বেশি কমিশন দিয়ে পানি বাজারজাত করছে। বেশি কমিশনের আশায় খুচরা দোকানিরা অন্য পানি বিক্রি না করায় অন্য কোম্পানি সবাই এখন দাম বাড়িয়ে কমিশনের মার্জিন অত্যাধিক করেছে।

আরও পড়ুন>>> নীরবে পকেট কাটছে কোক-পেপসি

পানির মূল্য ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। পানির মূল্য বৃদ্ধির এ অযৌক্তিক কার্যক্রমে ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি জনগুরুত্বপূর্ণ দুটো বিশেষ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এখন কোন কারণ ছাড়াই কতিপয় ব্যবসায়ী তাদের খেয়ালখুশি ইচ্ছেমত যেকোন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করছে এবং ভোক্তার পকেট থেকে অনৈতিকভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডাব, ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচের মতো নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করে ফেলেছে।

আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সমর্থন সহযোগিতা নিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল সারাদিন শেষে সারারাত ডাবের আড়তে অভিযান হয়েছে। কাঁচা মরিচ ডিমের পর ডাবের বাজারেও স্বস্তি ফিরে আসবে মর্মে আশা করা যায়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কারণে আমাদের কাজটা খুব সহজ হচ্ছে। এজন্য অধিদপ্তরের পক্ষ হতে গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

ভরা মৌসুমেও ইলিশের চড়া দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। এ মাছ প্রাকৃতিক সোর্স হতে আমরা আহরণ করছি। মাছ চাষে পুকুর লিজ, মাছের পোনা, খাবার, শ্রমিক, পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখা, পাহারা দেওয়াসহ অনেক খরচ আছে। চাষের মাছে মড়ক লাগলে কিংবা চুরি হলে প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। অপরদিক প্রাকৃতিক ইলিশ আহরণ ছাড়া এখানে কোনো দৃশ্যমান খরচ নেই। এরপরও চাষের সবচেয়ে ভালো মাছ রুই কাতলের চেয়ে ভরা মৌসুমে ইলিশের মূল্য ৫ গুণ বেশি আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইলিশের ল্যান্ডিং স্টেশন/আড়ত মূলত বরিশাল, চাঁদপুর, পাথরঘাটা। এসব এলাকার ইলিশের দাদন ব্যবসায়ীরাই এটির মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে মর্মে আমার কাছে প্রতিয়মান হয়েছে। বাংলার ইলিশ ১৫০০-২০০০ টাকা কেজি দরে কিনে খেতে হবে তা কারও কাছে কাম্য নয়।

জেইউ/এসএম