ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি : জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে ঔষধ ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা নেই। আর বেসরকারি হাসপাতালে টাকা গুনতে গুনতে ফতুর হচ্ছে রোগীর পরিবার। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি।
তিনি বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশন শুধু মশা মারার ঔষধ ছিটিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে। স্প্রে করা ওষুধে মশা মরছে কিনা তাও দেখার কেউ নেই। জবাবদিহিতা থাকলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতো না। ডেঙ্গু নির্মূলে সরকারের ব্যর্থতা সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা সাতশ ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যু এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। সাধারণ মানুষের ধারণা মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী সংকুলান হচ্ছে না। স্যালাইনের অভাবে হাহাকার উঠেছে রোগীর স্বজনদের মাঝে।
বিজ্ঞাপন
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে স্যালাইনের কোনো অভাব নেই, অথচ হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন নেই। ফার্মেসিতে ৯০ টাকা দামের স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো টাকায়। রোগীদের অভিযোগ নার্সদের মাধ্যমেই চিকিৎসা পাচ্ছেন । ২৪ ঘণ্টায় একবারও ডাক্তারের দেখা মেলেনা সরকারি হাসপাতালে।
বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসাসেবা পেলেও গুনতে হচ্ছে বিপুল অঙ্কের টাকা উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা কেবিন ভাড়া, আইসিইউ ভাড়া, ওষুধ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিদর্শন বাবদ গুনতে হচ্ছে প্রায় লাখ টাকা। তবে, হাসপাতাল ভেদে এই খরচ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ্য নেই। সাধারণ মানুষ যেন স্বাভাবিক চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।
এএইচআর/এমএ