সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় এগিয়ে নিতে বাংলা‌দেশ ও চীন একস‌ঙ্গে কাজ কর‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এক‌টি হো‌টে‌লে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ : অ্যাচিভমেন্টস  অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক সেমিনার এ কথা ব‌লেন তিনি।

দীপু ম‌নি ব‌লেন, বিআরআই উদ্যোগ বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। বিআরআই কাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীন অবকাঠামো, বাণিজ্য, আর্থিক এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী সহযোগিতা কর‌ার সু‌যোগ র‌য়ে‌ছে।

শিক্ষামন্ত্রী ব‌লেন, সম্প্রতি দ‌ক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলা‌দে‌শের প্রধানমন্ত্রী ও চী‌নের প্রেসি‌ডেন্ট বৈঠক ক‌রে‌ছেন। তারা পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথা বৈঠকে ব‌লে‌ছেন। এছাড়া দুই দে‌শের সম্পর্ককে আরও এগি‌য়ে নেওয়ার বার্তাও দি‌য়ে‌ছেন তারা।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ব‌লেন, ২০১৩  সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিআরআই প্রস্তাব করেছিলেন। বাংলাদেশ ২০১৬ সালে বিআরআইতে যোগদান করে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ, যারা বিআরআইতে যোগ দিয়েছে। বিআরআই-এর অনুপ্রেরণায় চীনা উদ্যোক্তা ও জনগণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিবেশগত উন্নতি এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

রাষ্ট্রদূত জানান, চল‌তি বছ‌রের জুন পর্যন্ত চীন ১৫২টি দেশ এবং ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বিআরআই-এর সহযোগিতার বিষয়ে ২০০টিরও বেশি সহযোগিতা নথিতে স্বাক্ষর করেছে।

ইয়াও ওয়েন ব‌লেন,২০১৬ সালে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালে ২৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের পরিমাণ ২০১৬ সালে ২৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল, যা ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বিডার নির্বাহী সদস্য খন্দকার আজিজুল ইসলাম ও ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। 

/এনআই/এফকে/