মো. আজিজুল হক আজিজ

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ায় চট্টগ্রামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ওই নেতা হলেন- সীতাকুণ্ড ৮ নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. আজিজুল হক আজিজ। 

তিনি হেফাজত নেতা মামুনুল হককে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধের ঘটনায় জড়িতদের ওপর ‘গজব’ কামনা করে স্ট্যাটাস দেন। এ প্রসঙ্গে ৮ নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আজিজ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতা হয়েও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই জরুরি সভা ডেকে তাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।’

আজিজ তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস লেখেন, ‘কোনো অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছি না। একজন আলেমকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এইভাবে হেনস্থা করলি। আল্লাহর গজব পড়বে তোদের ওপর।’ এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পরপরই এলাকায় ছাত্রলীগের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে আজ (৬ এপ্রিল) জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

এদিকে বহিষ্কারের পর আব্দুল আজিজের দাবি, তার আইডি হ্যাক হয়েছে। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অন্য কেউ এটা করেছে।

শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল হক।

মামুনুল হক অবরুদ্ধ এমন খবর শুনে সেখানে সন্ধ্যার পর জড়ো হতে থাকেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে রয়েল রিসোর্টে হামলা চালান। এতে রিসোর্টের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) তবিদুর রহমানসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। এক পর্যায়ে মাওলানা মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান হেফাজতের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। 

কেএম/এইচকে