মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

মাছ, মাংস, দুধ, ডিম পরিবহন ও বাজারজাতে কোনো বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। চলমান কঠোর নিষেধাজ্ঞার সময়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের পণ্য পরিবহন এবং বাজারজাত কার্যক্রম নিশ্চিতের বিষয়ে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা জানান।

সভায় মাছ, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু, দুধ, ডিম, মাছের পোনা, মুরগির বাচ্চা, পশু চিকিৎসা সামগ্রী, টিকা, কৃত্রিম প্রজনন সামগ্রী, মৎস্য ও পশু খাদ্য, ওষুধ ইত্যাদি পরিবহন ও বিপণন কার্যক্রম নিশ্চিত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনলাইন সভায় শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনার এ পরিস্থিতিতে সরকারের দেওয়া চলমান নিষেধাজ্ঞাকালে জরুরি খাদ্য পরিবহনে কোনো বাধা নেই। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। একইসঙ্গে এগুলো পচনশীল। এগুলো ‍উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণনে কোনোভাবেই বাধা থাকবে না। এ বিষয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দফতর-সংস্থায় চিঠি দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় এবং জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি, উপজেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা এবং মনিটরিংয়ের জন্যও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায়ের উদ্ভূত সমস্যাগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা এবং নিয়মিত কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, এবারের করোনা পরিস্থিতি গত বছরের চেয়েও ভয়াবহ। তবে আতঙ্কিত হয়ে একেবারে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। আমরা সবকিছু বন্ধ করে দিলে দেশ চলবে না। মানুষের মাছ, মাংস, দুধ ডিমের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না। আবার উৎপাদক, খামারি, বিপণনকারীসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি জানান, গত বছর এ খাতের সংকট উত্তরণে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, পরিবহনের বাধা দূর করা হয়েছে। বন্দরে মৎস্য ও প্রাণী খাদ্য ছাড়াতেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এ বছরও প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্য ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে। উদ্ভূত সংকট মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ একটি বড় খাত। ফলে এ খাতের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই যেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত নুয়ে না পড়ে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানসহ মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সভায় অংশ নেন।

একে/এফআর