রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ঢাকা কমার্স কলেজে সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশের রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত চার জনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছ বুঝিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

নিহতদের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত অনিকের মরদেহ নিয়ে তার বাবা বাবুল মিয়া গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার খালিয়াজুরীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। অনিকের গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ দাফন করা হবে জানা গেছে। অন্যদিকে, মো. মিজান (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫) ও মেয়ে লিমার (৭) দাফন হবে ঝালকাঠিতে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে মিজানের বাবা নাসির হাওলাদার বলেন, আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে আমার ছেলে, ছেলের বউ নাতিন লিমার মরদেহ বুঝে পাই। পরে সেখান থেকে মরদেহগুলো ঝিলপাড় বস্তিতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে মরদেহগুলো মিরপুর-২ নম্বরে অবস্থিত মসজিদ মার্কেটের ঢালে আনা হয়েছে। এখন আমার ছেলে, ছেলের বউ ও নাতিনের মরদেহের গোসল দেওয়া হচ্ছে। গোসল দেওয়া শেষে এখানে তাদের প্রথম জানাজা হবে। জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে ঝালকাঠিতে আমার নিজ বাড়িতে রওনা হব। সেখানেই তাদের দাফন হবে।

এদিকে, নিহত অনিকের মরদেহ নিয়ে তার বাবা নেত্রকোণায় রওনা হয়েছে জানিয়ে অনিকের দূর সম্পর্কের মামা মো. আবুল কাশেম বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অনিকের মরদেহ তার বাবা বুঝে পায়। এরপর লাশবাহী গাড়িতে করে মরদেহ নিয়ে নেত্রকোণা রওনা হয়েছেন তার বাবা বাবুল মিয়া। নিজ গ্রামের বাড়িতে অনিকের দাফন সম্পন্ন হবে।

মিরপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় একটি অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত অনিকের বাবা বাবুল মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে চার জন নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। নিহত অনিকের বাবা অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন। মামলায় আসামি অজ্ঞাত। ওই চার জনের মৃত্যুর পেছনে কারো অবহেলা আছে কি না এবং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের যে বিষয়টি শোনা যাচ্ছে সেসব বিষয়ে মাথায় রেখে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি।

/এমএসি/এসএসএইচ/