স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ডিএনসিসি অঞ্চলে অভিযান
ডিএনসিসি অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়/ ছবি- ঢাকা পোস্ট
করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকল্পে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিভিন্ন এলাকায় দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে গুলশান-২ নম্বর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় ৩১৫টি দোকান, পার্লার, সবজি দোকান ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এ সময় লাইসেন্সবিহীন এবং ফুটপাতের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করা এবং মাস্ক না পরায় ৮ জনকে ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া গুলশানে জাহিদ প্লাজায় অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে অভিযান পরিচালনাকালে হিল্টন থাই স্পা-এর সবাই পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে গুলশান ১১৩ নম্বর রোডের ২৩/বি এর হিল্টন থাই স্পা এর আরেকটি শাখায় অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে পাওয়া গেলে তাদেরকে গুলশান থানায় প্রেরণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মিরপুর-১০ অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে দারুসসালাম এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘোরাঘুরির অপরাধে ১০ জনকে মোট ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপদ রোড এবং ময়লার মোড় এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে যথাযথভাবে মাস্ক না পরার কারণে ১০টি মামলায় মোট ১ হাজার ২৯০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ১টি হোটেলের ভিতরে লোকজনকে বসিয়ে খাবার পরিবেশনের অপরাধে হোটেল মালিককে ৫ হাজার জরিমানা করা হয়। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ৯০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অঞ্চল ১০-এর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মাস্ক না থাকায়, সরকারের জারিকৃত আদেশ অমান্য করায় এবং ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় ২টি মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া বাজার মনিটরিং করে, বাজার কমিটির সঙ্গে কথা বলে সব স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য এবং বাজার মূল্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
উত্তরখান অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভাটারা অঞ্চলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় মোট ৮টি মামলায় ৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং জনগণকে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা প্রতিপালনে সচেতন করা হয়।
এএসএস/এইচকে