হঠাৎ পুলিশের আগমনে পরোটার খামির-তেল ফেলে দৌড়
পরোটার খামির-তেল ফেলে পালিয়েছে হোটেল মালিক ও কর্মচারীরা/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধে খাবার হোটেলগুলোতে কেউ বসে খেতে পারবে না, শুধু পার্সেল নিয়ে যেতে পারবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এই নির্দেশনা মানছেন না রাজধানীর অনেক হোটেল মালিক।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউনে টহলে নামে পুলিশ। এসময় পুলিশের গাড়ি দেখে পরোটার খামির আর তেল ফেলে পালিয়ে যায় হোটেল মালিক ও কর্মচারীরা।
বিজ্ঞাপন
হোটেলের পাশেই ছিলেন এক কর্মচারী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ এসেছে, এজন্য হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার এবং হোটেলের মালিকের নাম জানতে চাইলে তিনি সেখান থেকে দ্রুতই চলে যান। এসময় আশপাশের দোকানগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
মাহবুব হোসেন নামের এক পথচারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, হোটেলে বসে খাচ্ছিলেন অনেকে। হঠাৎ পুলিশের গাড়ি দেখে সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়। বাইরে পরোটা বানানো হচ্ছিল। হোটেল তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে গিয়ে পরোটার খামির আর তেল আর ভেতরে ঢোকানোর সময় পাননি কর্মচারীরা।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে খাবার পরিবেশন করায় সোমবার (৫ এপ্রিল) দুটি হোটেলকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
গত রোববার (৪ এপ্রিল) করোনার সংক্রমণ রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গণপরিবহন বন্ধসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়।
এর মধ্যে একটি নির্দেশনায় বলা হয়, খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
এসএইচআর/এসএসএইচ