রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বিজি প্রেসের সামনে শীর্ষ সন্ত্রাসী মনিরকে গুলির ঘটনার ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় অপরাধীরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক। তবে দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পুলিশ বলছে, গণমাধ্যমে ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ প্রচার হওয়ায় অভিযুক্তরা পালিয়ে আত্মগোপনে গেছে।

আরও পড়ুন :বার থেকে ফেরার পথে প্রাইভেটকার থামিয়ে গুলি, পথচারী গুলিবিদ্ধ

আসামিদের গ্রেপ্তার ও তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে তেজগাঁও ডিসি বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অত্যন্ত লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর পুলিশ প্রথম থেকে কাজ করছিল, অগ্রগতিও ছিল। তবে ঘটনার সময়ের একটা সিসিটিভি ফুটেজ মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর অপরাধীরা এলার্ট হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে আমরা একজনকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তার নাম বলছি না। আমরা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিই। আশা করছি- আমরা এই অপরাধে জড়িত সবাইকে ধরতে পারব।

আরও পড়ুন :তেজগাঁওয়ে গুলির ঘটনায় সন্ত্রাসী ইমনের হাত রয়েছে : ডিবি

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২০ বছর কারাবাস শেষে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পিয়াসি বার থেকে বের হয়ে তেজগাঁও দিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ভুবন চন্দ্র শীল এবং মো. আরিফুল নামে দুই পথচারী আহত হন। সোমবার দুপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুবন চন্দ্র শীল মারা যান।

আলোচিত এই ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনও অগ্রগতি করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া অভিযোগ উঠেছে, মামুনকে খুনের পরিকল্পনা করেন তারই প্রতিপক্ষ শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন।

এসএএ/এমজে