চট্টগ্রামে এক ওয়ার্ডের উন্নয়নেই শত কোটি টাকা বিনিয়োগ

একসময়ের অবহেলিত মোহরা ওয়ার্ডের উন্নয়নে শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মোহরা ওয়ার্ডে দেওয়ান মহসিন সড়ক, পল্টনিয়া তালুকদার সড়ক, কাজী বাড়ি সড়ক এবং বাদামতল মোড় সংলগ্ন শাহাজী চত্বর উদ্বোধন করার পর আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

চসিক মেয়র বলেন, শহরের প্রান্তিক অঞ্চলে থাকায় ভৌগোলিক কারণে যে কয়েককটি ওয়ার্ড পিছিয়ে আছে তার একটি মোহরা। এ কারণে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যবদলে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করি। 

তিনি বলেন, বর্তমানে ১০টি উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে মোহরা ওয়ার্ডে ৬৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া, আরও ফান্ড যোগ করে মোট ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে পুরো মোহরার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হবে। মোহরা ওয়ার্ডটি পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বিমানবন্দরের সন্নিকটে হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে এ ওয়ার্ডেও শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়ে মানুষের ভাগ্য বদল হবে।

বর্তমান সরকার দরিদ্র জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনার লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন। এ কারণে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষদের মাঝে ন্যূনতম মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বছরের প্রথম দিনে নতুন বই ও বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ফ্লাইওভার, টানেল, ইকোনোমিক জোন ও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চট্টগ্রামকে বিশ্ববাণিজ্যিক হাব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে৷ 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। এ কারণে চট্টগ্রামের মানুষ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পক্ষেই আগামী নির্বাচনে মত দেবে। তবে, নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ কর‍তে হবে। 

সভায় কাউন্সিলর কাজী নুরুল আমিন মামুনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাসুম চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ ও মো. শাহিনুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দীক।

এমআর/কেএ