সংগৃহীত ছবি

নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার সময় প্রাইভেটকারের এসির বিস্ফোরণে মারাত্মক দগ্ধ চট্টগ্রামের বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সোসাইটি অব সার্জনস চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মঈন উদ্দিন মাহমুদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে ২০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তিনি এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ডা. মঈনের চিকিৎসায় আমরা ২০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছি। আজ সকালে আমরা তাকে দেখে এসেছি। শারীরিক অবস্থার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তার শরীরের ২৫ শতাংশ বার্ন হয়েছে। আশঙ্কার বিষয় হলো মুখেই বেশিরভাগ বার্ন হয়েছে। গতকাল রাতেও প্রায় ১২টা পর্যন্ত তার কাছে ছিলাম। তখন আমি নিজেই থেকে ড্রেসিং করেছি। এখনও সে ঝুঁকিমুক্ত নয়।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের গতানুগতিক চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের সর্বোত্তম যে চিকিৎসা পদ্ধতি আছে, আমরা সেটাই ফলো করছি। আগামী রোববার আবারও মেডিকেল বোর্ড বসবে। এর মধ্যে আশা করছি অবস্থা অনেকটাই ইমপ্রুভ হবে।

এর আগে, বুধবার রাতে মারাত্মক দগ্ধ ডা. মঈন উদ্দিন মাহমুদকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় আনা হয়।

তার চিকিৎসায় গঠিত বোর্ডে আরও আছেন- শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. নওয়াজেস খান, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার সময় প্রাইভেটকারের এসির বিস্ফোরণে মারাত্মক দগ্ধ হন চট্টগ্রামের বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সোসাইটি অব সার্জনস চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মঈন উদ্দিন মাহমুদ। দুর্ঘটনার পর তাকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।

টিআই/জেডএস