বাগেরহাটের মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ জানিয়েছে ভুক্তভোগী একাধিক নারী।

রোববার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রভাতি সমাজকল্যাণ ও স্বাস্থ্য পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে মোখলেসুর রহমানের অপকর্ম তুলে ধরেন ভুক্তভোগী নারীরা। এসময় তারা অবিলম্বে ওই কর্মকর্তাকে অপসারণ করে ওই পদে একজন নারী কর্মকর্তাকে পদায়নের দাবি জানান।

মানববন্ধনে শাহিনুর বেগম নামে এক ভুক্তভোগী নারী জানান, তিনি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাবুর্চির চাকরি করতেন। ওই কর্মকর্তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাছাড়া তার মনোরঞ্জন না করে কোনো প্রশিক্ষণার্থী বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পান না। 

মোখলেসুর রহমান একসঙ্গে বাগেরহাটের মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং ঘরনি নামে একটি এনজিওতে চাকরি করে দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ২০০৭-১১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর বেতন নিয়েছেন। এমনকি তিনি অতিথি প্রশিক্ষক হিসেবে তার পছন্দনীয় সুন্দরী প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়োগ দেন। এরপর তার স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অতিথি প্রশিক্ষকদের কোয়ার্টারে বিনামূল্যে থাকতে দেন।

মোখলেসুর রহমান প্রশিক্ষণার্থীদের নির্ধারিত খাবার থেকে ফ্রি খেতে দেন। বিদ্যুতের নতুন খুঁটি বসানোর কথা থাকলেও তিনি ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে নতুন খুঁটি বসাননি। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গরু পালন শেডে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অফিসের কর্মচারীদের দিয়ে নিজের গরু পালন করান। এর মাধ্যমে তিনি অফিসের গাছগাছালি, ফলমূল ও সবজি ক্ষেত নষ্ট করে থাকেন। সরকারি টাকায় চাষ করা পুকুরের মাছ, ক্ষেতের সবজি ও ফল-মূল বস্তা ভরে ঢাকায় নিজ বাসায় নিয়ে যান।

মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ এবং তার কথোপকথনের রেকর্ড জমা দিলে টাকার বিনিময়ে একটি মহল অভিযোগ প্রমাণসহ গায়েব করে দেয়। তার নামে অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে।

ওই নারী বলেন, মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যেহেতু মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেহেতু ওই পদে একজন নারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/কেএ