আয়াত নার্সিং কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে অভিভূত ইইউ রাষ্ট্রদূত
আয়াত কলেজ অব নার্সিং অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেস ক্যাম্পাস পরিদর্শনে গিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউরোপীয়ন ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. চার্লস হোয়াইটলি।
তিনি বলেন, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, আধুনিক একাডেমিক ও পাঠদান কার্যক্রম সম্বলিত এত সুন্দর একটি নার্সিং কলেজ বাংলাদেশে রয়েছে যেটা আমাকে অভিভূত করেছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর মানিকনগরে কলেজটির ক্যাম্পাস পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমার জ্যোতি’ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও চিত্রশিল্পী মার্ক ট্রুডো, আয়াত কলেজ অব নার্সিং অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আমান, কলেজের অধ্যক্ষ হালিমা আক্তার, আয়াত এডুকেশনের সিওও ইমরান চৌধুরী প্রমুখ।
সকাল ৯টায় তিনি মানিকনগরে কলেজটির ক্যাম্পাসে পৌঁছালে কলেজের শিক্ষার্থীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে তিনি কলেজের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দুপুরে কলেজের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ শেষে শিক্ষার্থীদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বিজ্ঞাপন
চার্লস হোয়াইটলি আরও বলেন, বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে অনেক উন্নতি হয়েছে। আমি যখন দায়িত্ব নিয়ে এখানে আসি তখন এখানকার মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬৬ বছর যেটা বর্তমানে প্রায় ৭৪ বছরে উন্নীত হয়েছে। এটা একটা বড় সাফল্য। তাছাড়া শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সেগুলো কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব অনেক চ্যালেঞ্জ আমাদের দেশেও রয়েছে। কোভিড-১৯ এর সময় চিকিৎসা খাতের জনবল সঙ্কটের সমস্যাগুলো যেটা আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করেছি।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচালিত ‘আমার জ্যোতি’ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক ট্রুডো বলেন, নার্সিং একটি মহৎ পেশা। এই পেশার দক্ষ জনবল তৈরিতে আয়াত নার্সিং কলেজের কার্যক্রম দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দৈনন্দিন অনুশীলনে অত্যন্ত আন্তরিক বলেই আমার মনে হয়েছে।
নুসরাত আমান বলেন, ২০১৯ সালে সরকারের অনুমোদন লাভের পর মাত্র ১১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১১তলা বিশিষ্ট ভবনে যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে নার্সিং কলেজের যাত্রা শুরু করেছিলাম, মাত্র চার বছরের মাথায় আজ সেই কলেজে শিক্ষার্থীদের জায়গার সংকুলান করতে আমাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। এটা সত্যিই আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
তিনি বলেন, আমেরিকার সিমন্স ইউনিভার্সিটি ও ম্যাসাচুসেট জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে কলাবোরেশনে আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি বাংলাদেশে দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী তৈরিতে গতানুগতিক নার্সিং কলেজের বাইরে ভিন্নধর্মী একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে।
এমএইচএন/এসকেডি