জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের যশোর অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গভীর নলকূপ স্থাপনে সহায়ক জামানত নামে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের যশোর কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। সোমবার (১৫ অক্টোবর) সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের যশোর অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গভীর নলকূপ প্রাপ্তির জন্য উপজেলার জনসাধারণের জমা দেওয়া টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে শার্শা উপজেলায় ১ হাজার ১৯৭টি নলকূপ বরাদ্দ দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি নলকূপের বিপরীতে সহায়ক জামানত হিসেবে ১০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নগদে গ্রহণ করেন কর্মকর্তারা। এভাবে ১৭৭ জনের কাছ থেকে নগদ টাকা নেওয়া হয়। দুদক টিমের হস্তক্ষেপে পরে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয় এবং ইতোমধ্যে গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া সব টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী গচিহাটা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের কিশোরগঞ্জ অফিস থেকে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট ক্রয় করার সত্যতা পেয়েছেন।

এ বিষয়ে টিম প্রতিবেদন তৈরি করে শিগগিরই কমিশনের কাছে জামা দেবে বলে জানা গেছে।

আরএম/এসএসএইচ