রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানা এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের মারধরের পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ওমর ফারুক (৩৫) অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত ওমর ফারুক ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগে দপ্তর সম্পাদক। এ ঘটনায় আবু হানিফ রনি (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফারুক তার বাবার গাড়ির চাকা ব্যবসায় সহযোগিতা করতেন।

এ ব্যাপারর জানতে চাইলে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহীন মণ্ডল বলেন, নিহতের পরিবার এখনো লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে হত্যা মামলা নেওয়া হবে। 

এ ঘটনায় একজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

শাহ আলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শনিবার রাতে কিশোর গ্যাং লিডার মিমের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫/৬ জনের একটি দল স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী ওমর ফারুকের ওপর হামলা করে। রাস্তায় তাকে মারধর করা হয়।

এঘটনার পর ওমর ফারুক তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়ার বিষয়টি বন্ধুদের জানান। এরই মধ্যে বন্ধুদের খারাপ লাগার কথা কথা বলার পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

উপস্থিত বন্ধুরা তাকে প্রথমে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় তেমন কোনো সমস্যা না ধরা পরায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরে আবারও অসুস্থ হয়ে পরেন। আবারও হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

চিকিৎসক জানান, হার্ট ফাউন্ডেশনে দ্বিতীয় বার আনার আগেই রাস্তায় মৃত্যু হয় ওমর ফারুকের। পরে খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

না প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, চড় থাপ্পড় খেয়ে ভিকটিম বাসায় যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা দলবেঁধে আবার তার (ভিকটিমের) বাসায় ঢিল ছুড়লে ওমর ফারুক বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রাস্তায় তাকে মারধরের ঘটনায় মিম, রনিসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই শাহআলী থানা পুলিশ আবু হানিফ রনি নামের একজনকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু নাম পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

জেইউ/এমএ