গুলশান-বারিধারার লেকে পয়োবর্জ্য ফেলা দেখলে কষ্ট লাগে : মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সবচেয়ে দামি জায়গা গুলশান, বারিধারা, বনানী। এসব অভিজাত এলাকার বাসা বাড়ির পয়োবর্জ্য ফেলা হচ্ছে লেকে। এটা দেখলেই সবচেয়ে বেশি দুঃখ লাগে, কষ্ট লাগে।
রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কুড়িল লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মৎস্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞাপন
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার লেকে এখন মাছের বদলে মশার চাষ হচ্ছে। যখন দেখি ঢাকায় মাছ চাষের জায়গা নেই, এটা দেখে কষ্ট লাগে। বারিধারা, গুলশান লেকে পয়োবর্জ্য ফেলা হচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, এসব এলাকার পয়োবর্জ্যের লাইন লেকে দেওয়া হয়েছে। আমি ডিএনসিসির সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি এসব লাইন কেটে দিতে। এ বিষয় অভিযান চলছে আগামীতে আরও কঠোরভাবে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, নগরের প্রতিটি বাড়িতে সেফটি ট্যাংক থাকতে হবে। আপনারা হয়তো ভাবছেন, সেপটিক ট্যাংকে পয়োবর্জ্য শুকিয়ে গেলে কে নিয়ে যাবে? আমি বলতে চাই এগুলো আমরা নিজ দায়িত্ব সংগ্রহ করব এবং ল্যান্ডফিলে নিয়ে ফেলব।
বিজ্ঞাপন
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে অনেকগুলো লেক আছে। কিন্তু এসব লেকে মাছ নয়, মশা চাষ হচ্ছে। লেকের পানি এতটাই দূষিত যেকোনো মাছ সেখানে বাঁচতে পারে না। মাছ ছাড়লেও মরে ভেসে ওঠে। এসব নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই। বাসা মালিকরা যে যার মতো করে পয়োবর্জ্যের লাইন দিয়ে দিচ্ছেন। দখল করছেন, নানান বর্জ্য ফেলে দূষণ করছেন লেক। তবে এসব আর হতে দেওয়া যাবে না। সুন্দর পরিবেশের এক ঢাকা গড়তে আমরাসহ প্রতিটি নাগরিককে যার যার জায়গা থেকে সচেতন হয়ে খাল দখল, দূষণ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।
স্থানীয় কাউন্সিলর ইসহাক আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তর এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/এমএ