২৪১ কোটি পাচারে টেলেক্স এমডি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
টেলিসেবার মাধ্যমে প্রায় ২৪১ টাকা পাচারের অভিযোগে টেলেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২২ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়- ১ এর উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২ (ক) (২) ধারা লঙ্ঘন করে ২৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯ টাকা বা তিন কোটি চার লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৩ মার্কিন ডলার পাচার করেছেন। আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল বা সেবা রপ্তানির মূল্য বাবদ ব্যাংকিং চ্যানেলে ফরেন কারেন্সি/এফসি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ওই টাকা বাংলাদেশে আনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা তা করেননি।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা দেখা যায়, টেলেক্স লিমিটেড আন্তর্জাতিক কিংবা বৈদেশিক ইনকামিং কল আনয়ন তথা সেবা রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল বা সেবা রপ্তানিবাবদ রেভিনিউ সংগ্রহ করার জন্য অপারেটর হিসাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল বা সেবা রপ্তানির মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে ফরেন কারেন্সি দেশে আসার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা বাংলাদেশে আনা হয়নি। ওই অপারেটরের ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১০২ কোটি ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ কল মিনিটের বিপরীতে মূল্য বাবদ প্রতি কল মিনিট ০.০৩০ মার্কিন ডলার হিসাবে ৩ কোটি ৬ লাখ ৩১ হাজার ৪০৭ মার্কিন ডলার দেশে আসার কথা। কিন্তু ওই অর্থের পরিবর্তে মাত্র ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯১৪ মার্কিন ডলার প্রত্যাবাসিত হয়েছে। অর্থাৎ ৩ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৩ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯ টাকা দেশে আসেনি। আসামিরা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে অর্থ না এনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
আরএম/জেডএস