ফাইল ছবি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এখন পরিষেবা প্রদানকারী থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা প্রদানকারী দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে।

আজ (মঙ্গলবার) বেলজিয়ামের ব্র্যাসেলসে টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের আয়োজনে অনুষ্ঠিত টেক অ্যাক্সিলারেটর প্রোগ্রাম-২০২৩ এ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, প্রতিনিয়ত সরকারি পরিষেবা এবং অর্থনীতির দক্ষতা উন্নত হচ্ছে। বর্তমান সরকার এ ক্ষেত্রে দৃঢ়তার সঙ্গে ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে। একইসঙ্গে এসব ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করা হচ্ছে। এভাবেই টেকসই একটি অর্থনীতির পথ রচনা করেছে। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নৈতিক ও মূল্যবোধের বিকাশের মাধ্যমে শূন্য দারিদ্র্য এবং শূন্য ডিজিটাল বিভাজনসহ একটি প্রগতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা দেশকে উচ্চ আয়ের উন্নত, জ্ঞান-ভিত্তিক, অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিতে আমাদের বৈশ্বিক অংশীদারদের সাথে নিয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের চারটি স্তম্ভের অধীনে ৪০টিরও বেশি মেগা প্রকল্প নির্ধারণ করেছে সরকার। আর ওই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের অধীনে গঠন করা হয়েছে ১৫টি উপ-কমিটি। এরমধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে স্মার্ট জনশক্তি। 
সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে , প্রগতিশীল প্রযুক্তি, দক্ষ জনশক্তি, উদ্ভাবন উদ্যোগের মাধ্যমেই দেশের জনপ্রতি মোট উৎপাদনশীলতা (পিএফপি) আড়াই শতাংশ বাড়বে, মোট দেশজ উৎপাদন অনুপাতে কর আয় বাড়বে ২২ শতাংশের ওপর এবং জলবায়ু দুর্যোগ সহনশীল শতভাগ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে উঠবে।

সম্মেলনে অংশ নিয়ে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি বিষয়ক ছায়া সচিব পিটার কাইলসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বৈঠকে প্রযুক্তি খাতে ব্যবসায় সম্প্রসারণ, বাংলাদেশে বিনিয়োগ, ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গ্রহণ এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ বিনিময় ছাড়াও ডিজিটাল সুশাসন বিষয়ে আলোচনা হয়।

ওএফএ/এনএফ