জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর জন্য সমন্বিত ও শক্তিশালী ডাটাবেজ এবং পরিসংখ্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাটাবেজের নিয়মিত হালনাগাদ নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্য নিরসনের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত কমিটি’ এবং ‘দলিত, হিজরা ও অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা’ সংক্রান্ত থিমেটিক কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ ও কর্মসংস্থানে এখনো বেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কোনো জাতিগোষ্ঠীকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ নেই। এর জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা সবার দায়িত্ব।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক ফারহানা সাঈদ জানান, সভায় জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার পরিস্থিতি, দক্ষতা উন্নয়নে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, সংশ্লিষ্ট জেলা পরিদর্শন ও সভা সেমিনার আয়োজন সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করা হয়।

পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিতকরণ গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। নির্বাচনকালীন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতকরণে কমিশনের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড উপস্থাপন করা হয়। পাশাপাশি বিস্তৃত পরিসরে দলিত, হরিজন, তেলেগু ও ডোমসহ অন্যান্য অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর প্রেক্ষাপট আলোচিত হয়। 

সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজাসহ অবৈতনিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেইউ/কেএ