ছবি : সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় হামুনে চট্টগ্রামে ছয় উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে সাতকানিয়া ও বাঁশখালী উপজেলায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন  ৮৫ জন। এছাড়া ছয় উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার ৬৭ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৮৪ আংশিক এবং ২৮৩ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যায়।

নিহতরা হলেন, বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের কবির আহমেদের স্ত্রী মমতাজ বেগন (৭০) এবং সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের মাঝের পাড়া নুর আহমেদের স্ত্রী বকুমা খাতুন (৬৫)। 

বুধবার (২৫ অক্টোবর) জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় হামুনে জেলার মোট ২৫টি ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ১১টি গরু-মহিষ এবং ৭টি ভেড়া এবং ছাগলের মৃত্যু হয়। ঘূর্ণিঝড়ে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের মৎস্য সম্পদ, বন বিভাগের এক কোটি টাকা ও এক কোটি ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ১ লাখ ১১ হাজার লোকজন বন্যার কবলে পড়েন। জেলার সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলায় মোট ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব উপজেলায় শুকনা খাবার ও ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এরপর কক্সবাজারের পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে তীব্র গতিতে বাতাস বইতে শুরু করে। এসময় চট্টগ্রামের ছয় উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এমআর/এসএম