জনগণের উদাসীনতা নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের আবেগঘন স্ট্যাটাস
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বাইরে চলাফেরা করছে অধিকাংশ মানুষ। এ জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপেও সংক্রমণের হার কমছে না। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে অনীহা ও করোনার কারণে সৃষ্ট আতঙ্ক নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লেখেন, ভাইরাস আবারও হিংস্র ছোবল মারছে আমাদের উদাসীন শহরে। চরম উপেক্ষা গ্রামীণ জীবনে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। হাসপাতালের বেডের জন্য সংক্রমিত মানুষের স্বজনদের হাহাকার। খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকার চাকা থেমে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে জীবনের চিরচেনা সুর। থেমে গেছে পাখির কলরব ও নদীর কলতান। থমকে গেছে চন্দ্র তারকাখচিত রাতগুলো। বদলে গেছে প্রকৃতি ও জীবনের রঙ। বদলে গেছে রাজনীতির রঙ, বদলে গেছে আমাদের আচার-আচরণের ধরণও। শুধু বদলায়নি অনিয়মের নিরন্তর যাত্রা। বদলায়নি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধ।
বিজ্ঞাপন
তিনি লেখেন, মানুষের শত্রু ভাইরাসকে মানুষই জানাচ্ছে সাদর আমন্ত্রণ। অথচ এই প্রাণঘাতী ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে কত আপনজনের প্রাণ। নিভিয়ে দিয়েছে কত চোখের বাতি। তছনছ করে দিয়েছে কত সাজানো সংসার। এই জনপদের কত মানুষ আজ করোনার আঘাতে নিঃস্ব, রিক্ত। তবু কেউ মানে না স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক পরতে চায় না বেশিরভাগ মানুষ। লকডাউনের কড়াকড়িতেও ঢিলেঢালা ভাব। পাত্তাই দিচ্ছে না কেউ ভয়ঙ্কর করোনাকে। কিন্তু করোনা কাউকে করেনা করুণা।
বিজ্ঞাপন
সেতুমন্ত্রী লেখেন, জানি না আর কতকাল গুণতে হবে আমাদের নিজেদের অবহেলার, উপেক্ষার চরম মাশুল। আমাদের সচেতন হওয়ার সময় কি এখনো আসেনি? দেশের জনগণের নিশ্চিন্ত ঘুমের জন্য যিনি সারারাত জেগে থাকেন তার বারবার উচ্চারিত সতর্কবাণী কি কানে পৌঁছায় না? নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করোনা নিষেধাজ্ঞা আমরা মানবো না? না মানলে আমাদের সামনে নির্ঘাত অশনি সংকেত।
পিএসডি/এসকেডি