‘লাবণ্য আহমেদ সবার হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন’

সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখা-২ এর পরিচালক লাবণ্য আহমেদ তার অনিন্দ্য সুন্দর কর্মগুণে লাবণ্য ছড়িয়ে সবার হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখা-২ এর পরিচালক লাবণ্য আহমেদ এর স্মরণে শোকসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

গণসংযোগ অধিশাখার পরিচালক, যুগ্মসচিব মো. তারিক মাহমুদ বলেন, সদা হাস্যোজ্জ্বল প্রিয় সহকর্মী লাবণ্য আহমেদ একজন দায়িত্ববান কর্মকর্তা ছিলেন। গণসংযোগ পরিবারসহ পুরো সংসদের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে তার আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আমাদের দুই পরিবারের মাঝে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।

বিপিজেএ সভাপতি হারুন আল রশিদ বলেন, লাবণ্য আহমেদ আমাদের অত্যন্ত প্রিয় লাবণ্য আপা ছিলেন। পেশাগত কাজে তিনি সব সাংবাদিকদের আন্তরিকভাবে সহায়তা করতেন। তার অমায়িক ব্যবহার ও হাসিমাখা মুখ সবারে অন্তরে চির জাগরূক থাকবে।

সিনিয়র সাংবাদিক কামরান রেজা চৌধুরী বলেন, লাবণ্য আহমেদের সঙ্গে প্রথম দিনের পরিচয়ে তিনি আমার প্রতি যেভাবে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন গত ২৩ বছর তিনি ঠিক একইভাবে পেশাগত কাজে সহায়তা করেছেন। ওনার কাছে সহায়তা চেয়ে কোনোদিন খালি হাতে ফিরতে হয়নি।

বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নাফিজা দৌলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন লাবণ্য আহমেদের মা শাহেনশা বেগম, তার ছেলে আব্বাস বারী অধিপ ও আজওয়াদ বারী অতুল। শোকসভায় স্মৃতিচারণ করেন সম্পাদক মুফদি আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও নজরুল ইসলাম মিঠু, বিপিজেএ’র কার্যনির্বাহী সদস্য এমরান হোসাইন শেখ, মিজানুর রহমান ও গণসংযোগ অধিশাখার উপপরিচালক স্বপন কুমার বিশ্বাস। এছাড়া বিপিজেএ’র দপ্তর সম্পাদক জেসমিন মলি, শরীফ থিয়াম, নাজমুল ইসলাম তানিম, সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ, গণসংযোগ পরিবারের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসআর/এমএ