বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধ চট্টগ্রামে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে শুরু হয়েছে। এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত সড়কে যানচলাচল কম ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সড়কে যানবাহন বাড়ছে। এদিন সড়কে রিকশা, অটোরিকশা, টেম্পু, মিনিবাসসহ ব্যক্তিগত গাড়ির দাপট ছিল।

এদিকে, সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম থেকে যথাসময়ে ছেড়ে গেছে সবকটি ট্রেন। একই দিন ৯টা পর্যন্ত সব ট্রেন যথাসময়ে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, অবরোধের আগের রাতে চট্টগ্রামে তিনটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরের গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপণ করে।

এরপর রাত সোয়া ৩টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার চট্টগ্রাম-হাটহাজারী রোডের ট্যানারি বটতলা এলাকায় আরেকটি সিটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ১০ নম্বর বাসটিতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

অবরোধ শুরুর পর সকাল ৬টার দিকে নগরের ইপিজেড থানার সল্টগুলা ক্রসিং এলাকায় একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ জানায়, বাসটি যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়ায়। ওই সময় যাত্রীবেশে দুজন উঠে বাসে আগুন দিয়ে দ্রুত নেমে পড়েন।

অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুই প্লাটুন করে মোট চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার রাত ৯টা থেকে দুই উপজেলায় বিজিবির টিম টহল শুরু করে। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন নামে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে নানা নাশকতা হতো। এবারও এরকম আশঙ্কা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। একই দিন মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় সমাবেশ করে জামায়াত। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া জামায়াতের কর্মসূচি শেষ হলে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশসহ নিহত হওয়া ছাড়াও ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। পরে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা দিন সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় জামায়াতও।

এমআর/এসএম