পথচারী ও সাইকেলবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের বিকল্প নেই
ঢাকা শহরে ৬০ শতাংশ মানুষ হেঁটে যাতায়াত করে, অন্যদিকে শহরে মাত্র ৫-৭ শতাংশ মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে। তা স্বত্বেও নগর যাতায়াত পরিকল্পনায় ব্যক্তিগত গাড়িকেন্দ্রিক বিভিন্ন প্রকল্প গৃহীত ও অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে। একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর গড়ে তোলা এবং অধিকাংশ মানুষের যাতায়াত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পথচারী ও সাইকেলবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ধানমন্ডির আবহানী মাঠের সামনে আয়োজিত পাথচারী ও সাইকেলবান্ধব পরিকল্পনা : নগর যাতায়াত ব্যবস্থায় টেকসই সমাধান শীর্ষক সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর গড়ে তোলার বিষয়ে জোরারোপ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে এমন প্রকল্প-পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা আবশ্যক, যেখানে শহরের অধিকাংশ মানুষ উপকৃত হবেন। রাজধানীতে প্রতিদিন এক কোটিরও বেশিবার হেঁটে যাতায়াত করে পথচারী।
গবেষণায় দেখা গেছে, এক কোটি পথচারীর জন্য বরাদ্দ মাত্র ০.২৪ শতাংশ। অন্যদিকে প্রায় ২ লক্ষ জনগণ সাইকেলে যাতায়াত করা স্বত্বেও সাইকেলবান্ধব যাতায়াত নিশ্চিতে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে সাইকেল লেন প্রদান করা হলেও রুট নেটওয়ার্ক ও সাইকেল পার্কিং-এর সুবিধা নিশ্চিত না হওয়ায়, সাইক্লিস্টরা উপকৃত হননি।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা আরও বলেন, পরিকল্পিত নগরায়নের অভাবে ঢাকা মহানগরী ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। জনসংখ্যার আধিক্যের সাথে সাথে এ শহরে যাতায়াত চাহিদা ও যান্ত্রিক যানবাহন বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা পরিণত হয়েছে যানজটের শহরে। সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বালানি ব্যয়, দূষণ ও সড়ক দুর্ঘটনা এবং পক্ষান্তরে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। পথচারী ও সাইকেলবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা, যাতায়াত চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দৈনন্দিন শারীরিক কার্যক্রমের চাহিদা পূরণ করে এবং জ্বালানি ব্যবহার ও কার্বন নির্গমন হ্রাস করে, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক অবদান রাখে।
বিশ্ব নগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি), প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, গ্রিন ভয়েজ, রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, আলী হোসেন বালিকা বিদ্যালয়, ধানমন্ডি কচিকন্ঠ হাই স্কুল, ছায়াতল বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ, এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সম্মিলিত উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
এএসএস/এসকেডি