মৈত্রী প্ল্যান্ট সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে ভূমিকা রাখবে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা সুসংহত করবে। এছাড়া, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যান্য ব্যয়বহুল জ্বালানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে। প্রকল্পটি বাংলাদেশের গ্রিড স্ট্যাবিলিটি নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সাশ্রয়ী, মানসম্পন্ন এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ভূমিকা রাখবে।
বুধবার (১ নভেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প এলাকায় ১ লাখ ১৬ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আশপাশের এলাকায় সারাবছর পরিবেশ সংক্রান্ত প্যারামিটার মনিটরিং করার জন্য সিইজিআইএস নামক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে (৫০:৫০) প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) মাধ্যমে ২৬৬০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প ব্যয় প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিজ্ঞাপন
প্রকল্পের অর্থায়নকারী (ঋণদাতা) প্রতিষ্ঠান ভারত এক্সিম ব্যাংক। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে ইপিসি চুক্তি সই হয়েছে। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ইউনিট-১ এর কমার্সিয়াল অপারেশন ডেট অর্জিত হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটে পূর্ণ লোড অপারেশন অর্জিত হয়েছে।
ওএফএ/কেএ