প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সংবিধানের সমতার দর্শন ছড়িয়ে দিতে হবে
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সংবিধানের সমতার দর্শন ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের সংবিধানকে বলেছেন জনতার শাসনতন্ত্র। তাই জনগণের কল্যাণে এ সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে জাতীয় সংবিধান দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন স্পিকার।
‘এই শাসনতন্ত্র শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা’- বঙ্গবন্ধুর এই উদ্ধৃতি উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান কারো দান, অনুকম্পা, সন্ধি-আলোচনা বা চুক্তির মাধ্যমে পাওয়া যায়নি। লাখো শহীদের রক্তের দামে অর্জিত হয়েছে এই অনন্য সংবিধান।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে দিয়েছেন একটি লাল-সবুজের পতাকা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিনই বঙ্গবন্ধু সংবিধান রচনায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান জাতির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনের পরিপূর্ণ প্রতিফলন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন বাস্তবায়ন করতে আইনের শাসন সমুন্নত রেখে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে চলেছেন। এ কারণেই তিনি গৃহহীনদের ঘর দিয়েছেন, দরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধীনে এনেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বিস্তার করেছেন, সমাজে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে দরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ বজায় রেখেছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবীর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সরওয়ার, আইন কমিশনের সদস্য এ টি এম ফজলে কবীর প্রমুখ।
এএসএস/এসএসএইচ