হরতালের প্রভাব পড়েনি চট্টগ্রামের জনজীবনে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা দুইদিনের হরতালের তেমন প্রভাব পড়েনি চট্টগ্রামের জনজীবনে। নগরের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বের হয়েছে ছোট-বড় সব ধরনের গাড়ি। কোনো কোনো মোড়ে গাড়ির চাপে যানজট লেগে থাকতেও দেখা গেছে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, হরতালের মধ্যে খুলেছে প্রায় সব ধরনের দোকানপাট ও অফিস-আদালত। সেখানে উপস্থিতিও প্রায়ই স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া সকাল থেকে নগরের কোথাও গাড়িতে আগুন দেওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। হরতালের সমর্থনে মাঠে দেখা যায়নি বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলোকে। তবে দুয়েক জায়গায় ঝটিকা মিছিল বের করা হয়েছে বলে বিএনপির দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
হরতালে চট্টগ্রামে ট্রেনের শিডিউলে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেছে প্রায় সব ট্রেনই। অবশ্য বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ দূরপাল্লার যানবাহন।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, হরতালের শুরু থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোনো যানবাহনে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, পঞ্চম দফা অবরোধ শেষে রোববার থেকে দুইদিনের হরতাল কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো। কর্মসূচি শুরুর আগের দিন রাতে চট্টগ্রামে চান্দগাঁও থানা এলাকায় একটি বাস ও কর্ণফুলী থানা এলাকায় একটি মালবাহী পিকআপে আগুন লাগে। দুইটি গাড়িতেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন লাগে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। তবে, চান্দগাঁও থানা এলাকায় দুইজন সরাসরি গিয়ে বাসে আগুন দেওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এমআর/কেএ