রাজধানীর পল্টন মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণে আব্দুর তাহির ভূঁইয়া মুকুট(৩২) ও খান আবুল কালাম আজাদ (৬২) নামে দুইজন আহত হয়েছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

আহত মুকুট বলেন, আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। আমি মোটরসাইকেলে করে পল্টন মোড়ে আসলে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে আমার ডান পায়ে স্প্রিন্টারের আঘাত লাগে। পরে আমি ধোঁয়ায় কিছু দেখতে না পেরে দৌড় দিয়ে পাশের একটি গলিতে ঢুকে যাই। সেখান থেকে আমি আমার বন্ধুকে ফোন দিলে সে আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। শব্দে আমার কানেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা চলছে।

স্প্রিন্টারে আহত খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি বলাকা প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনের মার্কেটিংয়ে চাকরি করি। রিকশায় করে ওয়ালটন মোড় এলাকায় আসলে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমার পিঠে ও ডান হাতে স্প্রিন্টারে আঘাত লেগে রক্তপাত হয়। পরে আমার সহকর্মীরা খবর পেয়ে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি আমার থানার ঘটনা নয় এটি শাহবাগ থানা এলাকায় ঘটেছে।

শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আরশাদ বলেন,আমাদের এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিচ্ছি।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়ে দুইজন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসেছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

এসএএ/এসকেডি