ভূমিকম্প বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে একসাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে 'আর্থকোয়েক চেইন' বা মানববন্ধন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে দেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘স্পিড’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে ওই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

প্রায় একই সময় জাপান, থাইল্যান্ড, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে আর্থকোয়েক চেইন আয়োজন করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে স্পিডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রিপন হোড় বলেন, ‘এই প্রোগ্রামটি করা হয়েছে যেন মানুষের মাঝে ভূমিকম্প নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়। ভূমিকম্পের সময় এবং পরে কি করা প্রয়োজন সে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লার একটি গার্মেন্টসে কয়েকদিন আগে  ভূমিকম্পের সময় ভয়ে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অনেক মানুষ আহত হয়। আমরা যদি তাদেরকে সচেতন করতে পারি তাহলে ভূমিকম্পের সময় হতাহতের সংখ্যা অনেক কমানো সম্ভব।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘দেশে তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা ও সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা। সব এলাকাই ঢাকা থেকে কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে। সেখানে সাত থেকে আট মাত্রার ভূমিকম্প হলে তা ঢাকার জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। ঢাকার ভূমি বিভিন্ন প্রকারের নরম মাটি দিয়ে তৈরি হয়েছে। শহরটির সম্প্রসারিত অংশে জলাশয় ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে আবাসন এলাকা। ভূমিকম্পের সময় নরম মাটি ও ভরাট করা এলাকার মাটি ভূমিকম্পের কম্পনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয় এবং মাটি লিকুইফাইড হয়ে যেতে পারে। ফলে ভূমিকম্পে ক্ষতির প্রভাব আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ঢাকা শহরের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে মাটির গুণাগুণ বিশ্লেষণ করে দক্ষ জিওটেকনিক্যাল ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা দরকার।’

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি রিমি বাশার, রায়হান, ফারিয়া রহমান ও কাজী রূপান্তিসহ অন্যান্য সদস্যরা।

আরএম/এমটিআই