আশা করছি কমিশন আমার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেবে : আনোয়ার হোসেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আমি প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছি। আশা করছি, নির্বাচন কমিশন আমার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেবেন। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে পারব। আর নির্বাচনের পর এই এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের বিষয়টি বাতিল করতে আইনগতভাবে লড়ব।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আনেয়ার হোসেন বলেন, নেত্রকোণা-৫ আসনে আমার ভাই তিনবারের সংসদ সদস্য। এবার তিনি অসুস্থ হওয়ায় আমি প্রার্থী হয়েছি। আওয়ামী লীগের সমর্থনের জন্য দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলাম কিন্তু দলীয় সমর্থন পাইনি। তাই স্বতন্ত্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করেছি। কিন্তু তারা আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। কারণ হিসেবে বলছে, ১ শতাংশ ভোটারের মধ্যে তারা ১০ জনের সমর্থনের সত্যতা যাচাই করতে তদন্ত করেছেন। এর মধ্যে তারা সাত জন ভোটারের সমর্থনের সত্যতা পেয়েছেন। বাকি তিনজন ভোটারকে পাননি। অথচ এই তিনজনের মধ্যে দুজন ভোটারের সঙ্গে তারা দেখাই করেনি। আরেকজন ভোটার বাড়িতে ছিলেন না।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
এদিকে, সংসদ নির্বাচনে যেসব প্রার্থীর মনোনয়ন নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে তারা আজ দ্বিতীয় দিনের মতো আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে নির্মিত ১০টি বুথে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দিন মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মোট ৪২ জন আবেদন করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা সকাল থেকে ভিড় করেছেন ইসি ভবনের সামনে। তবে ভেতরে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রার্থীর সঙ্গে দুজন অর্থাৎ মোট তিনজনের বেশি প্রবেশ করতে পারছেন না। ভেতরে প্রবেশের দুটি ফটকেই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ভেতরে প্রবেশ করতে চাইছেন তাদের ব্যাগ ও দেহ তল্লাশি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ইসি ভবনে জনসাধারণের প্রবেশও সীমিত করা হয়েছে।
এএসএস/আরএইচটি/এসএসএইচ