ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, জনপ্রতিনিধিদের সাম্প্রতিক সম্পদের হিসেবে আমরা দেখছি, কারো কারো সম্পদ কয়েকশো গুণ বেড়েছে। এ বিষয়ে জনগণের কাছে স্বচ্ছভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। এটি নিশ্চিতে শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছেন।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবে আয়োজিত জনলোকের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৯৭১ সালে মার্কিন সরকার বাংলাদেশ ও মানবিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তবে মার্কিন জনগণ ও গণমাধ্যমের মাঝে মানবিকতা বোধ ছিল। তারা বাংলাদেশের পক্ষে চাপ প্রয়োগ ও মানবতার কথা বলে গেছে। অর্থাৎ মানবিকতা সবসময় পৃথিবীতে আছে, তবে ক্ষমতায় যারা থাকে তারা অমানবিক হয়ে যায়। এটি সমুন্নত রাখতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের মূল কাজ জনকল্যাণ। জাতির পিতা আমাদের একটা সংবিধান দিয়ে গেছেন, যেখানে ২২টি মানবিক অধিকার সংরক্ষিত আছে। আজ আমরা অবরোধ-হরতাল দেখছি। এটি একটা রাজনৈতিক দলের রয়েছে। কিন্তু সেই কর্মসূচি কেউ করলে ভালো, না করাটাও তার অধিকার। কিন্তু হরতাল অবরোধের নামে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।  

শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের মূল সমস্যা আমরা সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা করতে পারিনি। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রয়োজন। শিক্ষা হওয়া উচিত মানবিক ও কল্যাণমুখী। বর্তমান কারিকুলামে শিক্ষা হবে নৈতিক ও কর্মমুখী শিক্ষা। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, দেশ এগিয়ে গেছে তবে ত্রিশ লাখ মানুষ যা চেয়েছিল তা পায়নি। ১৯৭২ পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষকে খাবার যোগান দেওয়া কঠিন হতো। এখন ১৭ কোটি মানুষের খাবার যোগান দিচ্ছে। এদেশের কৃষক তার কথা রেখেছে। রাজনৈতিক নেতারা তা রক্ষা করতে পারিনি। তবে এখন সার ও কৃষি পণ্যের জন্য তাদের রক্ত দিতে হচ্ছে না। এটার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। 

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদরা যদি তাদের কথা রাখতেন তবে আজ সবার মুখে হাসি থাকত। তবে ৭৫ এর পরে বাংলাদেশ যে উল্টো পথে যাত্রা শুরু করেছিল। এখন তা আবার সঠিক পথে এগুচ্ছে। যদিও দেরি হয়ে গেছে কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে।

ওএফএ/এসকেডি