আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে থাকা মজুত দ্রব্যাদি কীভাবে ব্যবহার করা হবে এবং স্থানীয়ভাবে যেসব পণ্য কিনতে হবে সে প্রসঙ্গে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠান নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়, মজুত করা দ্রব্যাদির ক্ষেত্রে কোন কোন জেলা নির্বাচন অফিসারের নিকট কিছু সংখ্যক পিতলের সিল (ব্রাশ সিল) মজুত রয়েছে। সুতরাং ক্ষেত্রবিশেষে পিতলের সিল (ব্রাশ সিল) সরবরাহের সময় মোট প্রয়োজন থেকে এই মজুত করা সিল বাদ দিয়ে সরবরাহ করা হবে। কাজেই জেলা নির্বাচন অফিসারদের কাছে মজুত করা সিল যোগ করে ভোটকেন্দ্রে বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া আগে পাঠানো ফরম এবং প্যাকেট যথারীতি সংরক্ষণ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফরম ও প্যাকেটের চাহিদামতো (যদি প্রয়োজন হয়) পাঠাতে বা সংগ্রহ করতে হবে।

স্থানীয়ভাবে ক্রয় করা নির্বাচনী সামগ্রীর ব্যবহারের ক্ষেতে কিছু কিছু নির্বাচনী সামগ্রী যথা— বল পয়েন্ট কলম, সাদা কাগজ ও কার্বন কাগজ, ছুরি, সুই, সুতা, মোমবাতি, গামপট, দিয়াশলাই, গ্লু, স্ট্যাম্প প্যাডের কালি, লোহা বা প্লাস্টিকের পাত, দেয়াল-পত্র যেমন ‌‘প্রবেশ’, ‘বাহির’, ‘ভোটকক্ষ নম্বর (পুরুষ)’, ‘ভোটকক্ষ নম্বর (নারী)’, ‘প্রিজাইডিং অফিসার’, ‘সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার’, ‘পোলিং অফিসার’, লেখা প্ল্যাকার্ড ইত্যাদি সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসাররা স্থানীয়ভাবে মুদ্রণ/সংগ্রহ করবেন।

এক্ষেত্রে এসব নির্বাচনী সামগ্রী ভোটকেন্দ্রে ব্যবহারের যোগ্য কিনা তা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের সময় গুণাগুণ যাচাই করে ক্রয় করতে হবে, যাতে ভোটগ্রহণের সময় কোনো বিঘ্নের সৃষ্টি না হয়। উল্লিখিত নির্বাচনী সামগ্রী স্থানীয়ভাবে ক্রয়/মুদ্রণের জন্য অতিসত্বর প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।

/এমএইচএন/এমএ